সৌদি আরবের মিনায় পদদলিত হয়ে শরীয়তপুর জেলার তিনজন হাজির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাদের বাড়িতে চলছে স্বজনদের মাতম।
নিহতরা হলেন- জাজিরা উপজেলার জাজিরা ইউনিয়নের জব্বার আকন কান্দি গ্রামের এমএ রাজ্জাক আকন্দ (৬৫), তার স্ত্রী হাসিনা আকতার (৫৫) এবং জেলার গোসাইরহাট উপজেলার চরধিপুর গ্রামের আহম্মেদ আলী মৃধা (৬৫)।
এমএ রাজ্জাক আকন্দ ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত জেল সুপার। চাকুরি জীবনের শেষ পর্যায়ে তিনি কাশিমপুর কারাগার থেকে গত বছর (এলপিআর) অবসরে যান। এরপর থেকে তিনি পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্সের একজন পরামর্শক হিসেবে কাজে যোগদান করেন। ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায় তারা বসবাস করতেন।
রাজ্জাক দুই স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে তিনি হজ করতে গিয়ে ছিলেন। বর্তমানে ছোট স্ত্রী আফসানা আকতার বেঁচে আছেন এবং তিনি মক্কাতে রয়েছেন।
নিহত রাজ্জাক আকন্দ ও হাসিনা আক্তারের ছেলে ডাক্তার রুবায়েত আদনান বাবা-মায়ের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তাদের বাড়িতে চলছে আহাজারি। আত্মীয়-স্বজনরা খবর পেয়ে বাড়িতে এসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
এদিকে আহম্মেদ আলী মৃধার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন গোসাইরহাট উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মো শাহজাহান দেওয়ান। আহম্মেদ আলী মৃধা ছিলেন প্রাইমারী স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
জাজিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার রফিকুল ইসলাম বলেন, নিহত হাজি রাজ্জাক আকন্দ ও তার স্ত্রী হাসিনা আকতার খুব ভাল লোক ছিলেন।
গোসাইরহাট উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মো শাহজাহান দেওয়ান বলেন, আমাদের এলাকার আহম্মেদ আলী মৃধা মিনায় পদদলিত হয়ে মারা গেছেন।
প্রসঙ্গত, হজে গত বৃহস্পতিবার শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের প্রতীকী আনুষ্ঠানিকতা পালনের সময় মিনার ২০৪ নম্বর সড়কে পদদলিত হয়ে ৭১৭ জন নিহত ও আট শতাধিক আহত হন।